এই শীতে আপনার শিশুকে দিন উষ্ণ আলিঙ্গন এবং আরও অনেক কিছু

0
345

শীতকালে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাঁটা, আপনার ছোট্টোটিকে নন-স্টপ স্নাগলিং এবং হাগলিং করা, আগুনের পাশে বসে কফিতে চুমুক দেওয়া, আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য শীতের সুন্দর গরম পোশাক কেনাকাটা করতে যাওয়া। আচ্ছা, যাকে আমরা সবাই ‘পিকচার পারফেক্ট উইন্টার’ বলি, এটাই কি তাই নয়?

কিন্তু শীত মানেই তো খেলা আর মজা করা নয়। একজন বাবা অথবা মা হিসেবে বাচ্চার যত্ন নেওয়ার সময় সতর্ক থাকা দরকার কারণ আপনার ছোট্টো বাচ্চা ঠান্ডায় বা কোনো রোগ-জীবাণুর সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে শীতের হাওয়া এবং তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যায়।

আপনার ছোট্টো বাচ্চাকে ঠাণ্ডায় ভালো রাখার জন্য আপনার যা জানা দরকার তা হল-

তাদের ভালো করে গরম কাপড়ে মুড়ে রাখুন

শিশু এবং ছোটোদের জামা পড়ানোর সময় নিশ্চিত রাখুন যে স্তরে স্তরে জামা পড়িয়েছেন কি না। আপনি হয়তো পশম বা তুলার মতো নরম কাপড় দিয়ে শুরু করতে চান (যেহেতু তাদের ত্বক নরম হয় এবং লাল হয়ে যায় না বা চড়চড় করে না) এবং প্রথম স্তরে পরানোর কাপড় হিসাবে পশম এড়িয়ে চলুন। মনে রাখার মতো বিষয় হল যে, উল বেশিরভাগ কাপড়ের চেয়ে ভাল ইনসুলেট করে ঠিকই, তবে শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে এলে একজিমা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে। সুতরাং বস্ত্র পরিধানের দ্বিতীয় স্তরে উল রাখুন। এ ছাড়া কিউট প্রিন্টের সঙ্গে উজ্জ্‌বল রঙের গরম পোশাক বেছে নিন। বি.দ্র. সব সময় অতিরিক্ত পোশাক পরানো এড়িয়ে চলুন।

আলিঙ্গনের মজা!

আপনার বাচ্চাকে আপনার শরীরের কাছাকাছি রাখার জন্য বেবি ক্যারিয়ার ব্যবহার করে আপনার প্রিয় ছোট্টোটিকে নিজের কাছাকাছি রাখুন। যখন আপনার শিশুটকে স্ট্র্যাপ দিয়ে বাঁধা হবে, তখন অনুগ্রহ করে নিশ্চিত করুন যে তার মুখ যেন আপনার বুকের সাথে চেপে না যায়, যাতে তার সহজে শ্বাস নিতে কষ্ট না হয়।

ভ্যাকেশন (ছুটির) চেয়ে ভ্যাক্সিন বেশি জরুরি!

শীতের রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ থেকে আপনার শিশুকে দূরে রাখুন, আপনার শিশুর টিকাদান যেন সঠিক সময়ে হয়ে থাকে তা খেয়াল রাখুন। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বুকের দুধ খাওয়ানো। এ ছাড়া, আপনার বাচ্চা ও ছোটো বাচ্চাদের অসুস্থ লোকেদের কাছ থেকে দূরে রাখুন এবং জনবহুল জায়গায় তাদের নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

সফট টাচ।

শিশুদের ত্বক খুবই নরম ও কোমল হয়। শীতকালে তাদের ত্বক শুষ্ক, ফাটা এবং ত্বকে চুলকানি হতে পারে। আপনার শিশুকে স্নান করানোর সময় গরম জল ব্যবহার করুন এবং আপনার শিশুকে বেশি সময় জলে ভিজতে দেবেন না; একটি নবজাতকের জন্য 10 মিনিট বা তার কম সময় সীমাবদ্ধ করুন। শিশুকে স্নান করানোর পর কোমল, কেমিক্যালমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

রাব-আ-ডাব-ডাব!

একটি শিশুকে ম্যাসাজ করা সবসময় সহায়ক এবং আরামদায়ক হয়ে থাকে এবং শীতে শিশুকে গরম রাখার জন্য এটি একটি খুব কার্যকর উপায়। স্নান করানোর আগে শিশুকে ম্যাসাজ করে দিলে তার রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয় এবং এটা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে সাহায্য করে। ভালোভাবে ম্যাসাজ করার জন্য, নারকেল তেল বা গন্ধবিহীন শিশুদের তেল ব্যবহার করুন এবং নিশ্চিত করুন যে তেলের তাপমাত্রা যেন ইষৎ উষ্ণ হয় কিন্তু খুব গরম যেন না হয়।

নির্দিষ্ট ঋতুকালীন পুষ্টি

অবশেষে তবে শেষ নয়, যদি আপনার শিশু প্রথমবারের মত কঠিন খাবার খেতে শুরু করে থাকে, তাহলে আপনাকে তাকে ফাইবার এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। মিষ্টি আলু, ফুলকপি, স্যামন ইত্যাদি খাবার খেতে দিতে পারেন।

হায় স্মার্ট মায়েরা, যদি আপনার কাছে কোনো শীতকালীন প্রতিকার জানা থাকে নীচের মন্তব্যের জায়গায় আমাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here