বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব

0
352

প্রিয় নতুন মায়েরা এবং

হবু মায়েরা,

স্তন্যপান করানো হল একজন মায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য – একটি শিশুর সুস্থতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, সারাজীবনের জন্য।

এবং যদিও আপনি ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে সমস্ত কিছুই হয়তো জানেন – আমরা কিছু মূল্যবান বিষয় যা উপযুক্ত বলে মনে করেছি তা শেয়ার করব যা আপনার হয়তো এখনও দরকারী মনে হতে পারে। পড়ার জন্য স্বাচ্ছন্দ বোধ করুন এবং অন্য নতুন মায়েদের সাথেও এটি শেয়ার করুন।

এছাড়াও, www.jlmorison.com/blog/-এ আপনার মন্তব্য ও মতামত জানাবেন

স্তন্যপান করানোর সময় যা মনে রাখা দরকার

  1. বুকের দুধ শিশুর জন্য আদর্শ পুষ্টির জোগান দেয়। ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফ্যাটের প্রায় একটি নিখুঁত মিশ্রণ, যা আপনার শিশুর বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
  2. স্তন্যপান করানোর ফলে শিশুর বিভিন্ন ধরনের ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
  3. স্তন্যপান করালে অতিরিক্ত ক্যালোরি ব্যয় হয়, তাই এটি আপনাকে দ্রুত গর্ভধারণের ফলে প্রাপ্ত ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
  4. এটি অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত করে, যা আপনার জরায়ুকে তার গর্ভাবস্থার পূর্বের আকারে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে এবং জন্মের পরে জরায়ুর রক্তক্ষরণ হ্রাস করতে পারে।
  5. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ দেয় যে একজন শিশুকে অন্তত 6 মাস বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
  6. মায়ের বুকের দুধ শিশুর দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন অ্যাজমা, টাইপ-1 ডায়াবেটিস, সিলিয়াক রোগ এবং আরও বহু রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  7. স্তন্যপান করানোর ফলে স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে। এতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিও কমতে পারে।

আমরা বুঝতে পারি যে একজন আধুনিক নারীর জীবন সমস্যায় ভরা এবং চরম ব্যস্ত থাকে। নিরাপদে বুকের দুধ বের করে সংরক্ষণ করে তা আপনার বাচ্চাকে আপনার দুধ দিতে পারেন, এমনকি আপনি দূরে থাকা কালীনও।

যেভাবে বুকের দুধ বের করা যায় এবং সংরক্ষণ করা যায়

আমরা জানি মায়েদের জন্য তাদের বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো কঠিন এবং সেখানেই মরিসন্স বেবি ড্রিমস-এর ব্রেস্ট পাম্প এবং স্টোরেজ ব্যাগ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। দুধ বের করার প্রক্রিয়া দুধের সরবরাহকে বৃদ্ধি করে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে যত্ন নিতে সাহায্য করে।

  1. একটি ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করার জন্য প্রথমে হাত ধুয়ে নিন এবং তারপরে স্তন মুছে ফেলুন, বিশেষ করে স্তনের নিপলের স্থানে গরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। দুধ সংগ্রহের সময়ে যে কোনও ধরনের জীবাণুর অনুপ্রবেশ এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
  2. স্তনে আলতো করে ম্যাসাজ করে একটু দুধ বের করে নিতে হবে। স্তনের শিল্ডটিকে স্তনের উপর শক্তভাবে রাখুন; নিশ্চিত করুন যেন বাতাস না বেরোয়, অন্যথায় কোনও শোষণ হবে না।
  3. ধীরে ধীরে তাল মিলিয়ে হাতলটিকে চাপতে হবে। এতে একটু সময় লাগতে পারে, কিন্তু আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। ইলেকট্রিক ব্রেস্ট পাম্পও পাওয়া যায়।
  4. যখন আপনি মনে করবেন যে কাজ হয়েগেছে, তখন শুধু পাম্পটিকে সরিয়ে ফেলুন এবং বোতলটিকে খুলে একটি জীবাণুমুক্ত স্টোরেজ ব্যাগে দুধ ঢেলে নিন। অবিলম্বে ফ্রিজে বা ডিপ ফ্রিজে এটি রেখে দিন।
  5. একবার খাওয়ার জন্য আপনি যে পরিমাণ ব্যবহার করতে পারেন তা সংরক্ষণ করুন – কারণ আপনি বুকের দুধকে পুনরায় ফ্রিজে রাখতে পারবেন না

দুধ সংরক্ষণের নিয়ম

  1. ঘরের তাপমাত্রায় 3-4 ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করুন।
  2. 4 দিন ফ্রিজে রেখে দিন।
  3. 6 মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।

নির্বীজকরণের গুরুত্ব

  1. বোতল ও অ্যাকসেসরিজ ক্লিনার, স্পার্কল ব্রাশ দিয়ে আপনার বোতলটিকে ধুয়ে ফেলুন।
  2. শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবারই যথেষ্ট নয়, তা স্বাস্থ্যবিধিসম্মতও হতে হবে। সব সময়ে শিশুর খাওয়ার বোতল জীবাণুমুক্ত করে রাখুন।

প্রতিবার ব্যবহারের আগে ও পরে খাওয়ার বোতল  জীবাণুমুক্ত করা সর্বদা জরুরি।

আশা করি এই পরামর্শগুলি আপনাদের কাজে লাগবে। আরও কিছু জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমাদের www.jlmorison.com-এ পরিদর্শন করুন, ফোন করুন 022 6141 0300 নম্বরে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন আমাদের 91 88280 22300 নম্বরে।

আমাদের ডেমো ভিডিওগুলিকে দেখার জন্য নিচের কিউআর কোডগুলিকে স্ক্যান করুন:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here