বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব
স্তন্যপানের গুরুত্ব মায়ের দুধ আপনার শিশুর জন্য সর্বোত্তম খাদ্য এবং এর উপকারিতা কেবল পুষ্টি দিয়েই শেষ হয় না। প্রথম ছয় মাস আপনার শিশুর জন্য একমাত্র খাদ্য হিসেবে মায়ের দুধের সুপারিশ করা হয়। সমস্ত বিকল্প খাদ্য অপশনগুলি আপনার শিশুকে স্তন্যপানের মতো উপকার দিতে ব্যর্থ হয়। চলুন আরও জেনে নেওয়া যাক।
- রোগ থেকে সুরক্ষা: আপনার বুকের দুধ আপনার শিশুর জন্য তৈরি। একজন মায়ের দ্বারা উৎপাদিত প্রথম দুধকে বলা হয় কোলোস্ট্রাম যা অ্যান্টিবডিতে সমৃদ্ধ। অ্যান্টিবডি (বিশেষ করে, ইমিউনোগ্লোবুলিন এ) প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে, আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অনেক সংক্রমণ, অ্যালার্জি এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। স্তন্যপান পর্যায়ের পরেও কোলোস্ট্রামের উপকারিতা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। এটি ধীরে ধীরে পরিপক্ক দুধে পরিবর্তিত হয় এবং উপকারিতা এখনও দুধে বজায় থাকে। এই দুধ শিশুর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি বহন করে। এটি সাধারণ অসুস্থতার ঝুঁকি এবং পরবর্তী জীবনে কিছু বিষয় যেমন হাঁপানি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ঝুঁকি কমায়। প্রকৃতপক্ষে, ইউনিসেফ প্রথম ছয় মাস একটানা বুকের দুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে 2 বছর বা তার বেশি সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- মায়েদের জন্যও একটি আশীর্বাদ: স্তন্যপান অক্সিটোসিনের নিঃসরণ বাড়ায়, যা মাকে মানসিকভাবে শান্ত করে। এটি প্রসবোত্তর হতাশার ঝুঁকি হ্রাস করে। বুকের দুধ খাওয়ানো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিকে 25% কমিয়ে দেয় সেইসাথে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। বুকের দুধ খাওয়ালে ডায়াবেটিক মায়েদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। এটি স্তন্যদানকারী মায়েদের ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি দিনে প্রায় 500 ক্যালোরি কমাতে পারে।
- মা ও শিশুর মধ্যে বন্ধন মজবুত করে: বুকের দুধ খাওয়ালে আপনার এবং আপনার শিশুর মধ্যে একটি শক্তিশালী আবেগগত ও শারীরিক বন্ধন তৈরি হয়। এটি মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। অক্সিটোসিন বা “লাভ হরমোন” মুক্ত হলে মা ও শিশুর সুন্দর বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
অতএব,আপনার শিশুর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে উপকারী পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি হল স্তন্যপান করানো ।