বেবি  মিউজিং, পার্ট  7 ।

0
364

shutterstock_290349350

মা, আপনি কি ভাবছেন? এইটাই ভাবছেন তো  যে,  মিউজিং এর পার্ট  1 থেকে 6  কোথায়? অরে  মা; আমি এখনো এতটা   হিসাব শিখিনি। আমি সব সময় ভাবতাম যে , 7 হল  প্রথম সংখ্যা।

যাইহোক, আমি আর অবান্তর কথা বলতে  চাই না।  কি সুন্দর শব্দ, তাই না ? অ -বা -ন -তো -র  … এতো সুন্দর শব্দ থাকা সত্ত্বেও  মা-বাবা  আমার  প্রথম শব্দ  বাবা  নাকি মা হবে   তা নিয়ে লড়াই করছে । আপনাদের এত শিশুসুলভ আচরণ করা বন্ধ করতে হবে। হা-হা-হা-হা! কিন্তু আপনারা জানেন যে, শুধু এটা নিশ্চিত করার জন্য যে আপনাদের মধ্যে কেউই যাতে এই লড়াইটি হেরে না যাক তার জন্য , আমার  প্রথম শব্দ দাদা বা ঠাকুমা বা দাদু বা দিদিমার হবে ।

যাই হোক না কেন, আপনার ভাবনায় ফিরে আসা যাক। আমার অনেক কিছু বলার আছে, তাই  মা  আপনি যা করছেন সব ছেড়ে  অনুগ্রহ  করে, এই ব্লগটি  মন দিয়ে শুনুন।

আমি সবসময়  ক্ষুধার্ত  থাকলেই  কাঁদি না (যদিও 80% সময়ে আমার কান্নার কারণ খিদেই হয় )। কখনও কখনও আমি কেবল আমার ভোকাল কর্ডগুলি প্রসারিত করার জন্য কাঁদি। এবং কখনও কখনও আমি কান্নাকাটি করি কেবল আপনারা কত দ্রুত দৌড়াতে পারেন তা দেখার জন্যেও। কিন্তু  আপনি জানেন যে  কেন আমি আপনাদেরকে দৌড় করাতে  চাই, তাই না, মা? আপনি বলতে থাকেন যে আপনি আপনার বাড়তি ওজনকে গুডবাই বলতে চান ,   আপনাকে সাহায্য করার জন্যই  তো আমি দৌড় করাচ্ছি  ।

তাছাড়া আপনাকে দৌড় করানোর কারণ আমার  ক্রিকেটের প্রতি  ভালোবাসাও হতে পারে   (হয়তো বড় হয়ে আমি একজন খেলোয়াড় হতে পারি ) কিন্তু এই মুহূর্তে আমি আসলে ক্রিকেট ভক্ত নই। এর জন্য আমি বাবাকে দোষারোপ করি ! যখনই সে তার প্রিয় টি-টোয়েন্টি দলকে দেখে, তখন চিৎকার করে ওঠে যেন সে প্রসব বেদনায় ছটফট করে। প্রতিটি ‘আউট’ একটি ‘নকআউট’। আমার বেচারা কানের পর্দার জন্য!!!

ক্রিকেটের কথা বলতে গেলে, আমি বলতে চাই যে ঠাকুমা এবং দিদিমা আপনাদেরকে যে ভালবাসা দেয় তা সবসময় আপনাদরকে বোল্ড করে। তারা সত্যিই জানেন যে   কীভাবে আমার যত্ন নিতে হয়,  আমি যখন পটি  করি তখন তারা মিনা দিদির মতো  নাক টিপে ধরে না । এখন চলুন ! আপনারা সবাই জানেন যে, অঘটন ঘটে!

দাদু এবং মামাদাদুও খুব প্রেমময় কিন্তু এরা আমার গালটি  একটু বেশিই জোরে  টানে! এটি   বাজে শোনাতে  পারে কিন্তু, মা, আপনাকে একটি নিয়ম বানাতেই  হবে: একজন একদিনে একবার আমার  গাল দুটো টানবে তার চেয়ে বেশি না! আমি বড় হয়ে বুলডগের মতো দেখতে হতে চাই না!

আর কি।।। আর কি।।। ওহ  হ্যাঁ! অনুগ্রহ  করে আমার সমস্ত পিসি, কাকা, ভাই, দিদি এবং বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের বলুন  যে তারা যখনই  ফটো তোলার জন্য স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালাবে  আমি তখনই হাসবো এই আশাটি যাতে তারা না করে । আপনারা যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন তবে আমি বলবো যে এই ‘সেলফি’  বিষয়টি বড়  স্বার্থপর।

আর একটা কথা মা, যখনই আমার তুতো দাদা  সমীর দাদা যখনি  বাড়িতে আসবে, সে আমার দিকে এমনভাবে তাকায় যেন আমি তার কাছ থেকে কিছু চুরি করেছি। তার বোঝা উচিত যে সে  পুরো তিন বছর ধরে আমাদের বংশের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল তবে এখন আমার পালা। তাকে এই  ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ভাই-বোনের আনন্দে পরিণত করতে হবে। আমি প্রত্যেকের চোখের তারা  এবং আমি উপহার পেতে ভালোবাসি , নরম খেলনা, আলিঙ্গন এবং চুম্বন যা সবাই আমার উপর বর্ষণ করে।

তারা যখন আমার জন্য এইসব করে তখন আমি আনন্দের দুনিয়াতে  ভেসে যাই । আমি জানি আমাকে দেখাশোনা করা ক্লান্তিকর (মনে রাখবেন আপনারা একটি চমৎকার কাজ করছেন , মা) কিন্তু আরও একটি জিনিস আছে যা আমি চাই আপনারা আপনাদের জন্য করুন। আমাকে আরো ঘন ঘন ঘুরতে বেড়ান । বাগানে বা  বা শপিং মলে বেড়াতে যান । মূলত যে কোনও জায়গা যেখানে আমি ব্লকের নতুন বাচ্চাদের সাথে দেখা করতে পারি।

আহ! হাই পাচ্ছে ! ঘুমানোরর সময়!আমি চললাম ঘুমাতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here